কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নিয়ে এবারও বিপাকে দেশের বিভিন্ন স্থানের মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে আড়তদারদের ইচ্ছেমতো দামে। এতে লোকসানের শংকায় পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। চামড়ার কম দামের জন্য ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটকে দুষলেন আড়তদাররা। এদিকে, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।

প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকা থেকে গবাদিপশুর চামড়া সংগ্রহ করে জেলা শহরে এনে আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন নওগাঁর মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চামড়া বিক্রি করতে এসে সরকার নির্ধারিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন তারা। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতি বছরের মতো সিন্ডিকেট করে কম দামে চামড়া কিনছেন আড়তদাররা।

তবে নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্র“প সাবেক সভাপতি শেখ আজাদ হোসেন জানালেন, ট্যানারি মালিকদের কারণেই চামড়ার নায্য দাম দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

মাগুরায় চামড়ার দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি বিক্রেতারা। এবছর প্রতিটি গরুর চামড়া প্রকার ভেদে মাত্র ৩ শত টাকা থেকে ৬ শ’ টাকা এবং খাসির চামড়া ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চামড়ার কম দাম হওয়ার পেছনে নানা অজুহাত দিলেন মাগুরা চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহাব।

অন্যদিকে দিনাজপুরে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দামে চামড়া কেনায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ মৌসুমী বিক্রেতাদের। চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতারা বলছেন-লবনের দাম ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় চামড়া সংরক্ষনের ব্যয় বেড়েছে। এরপরও সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছেন বলে দাবি তাদের।

দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবি। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি গোয়েন্দ নজরদারিও বাড়িয়েছে তারা।